নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেছেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।’
গত ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৭ মে রিভিশন আবেদনটি করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয় আবেদনে। একই সঙ্গে ১৯ মার্চের অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়।
গত সোমবার (২৮শে আগস্ট) উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আজ বুধবার আদেশের দিন ধার্য করা হয়। কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সৃস্টি করা এবং দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ই ডিসেম্বর দুদক খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে। এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে খালেদা জিয়াসহ আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
একই মামলায় অন্যান্য আসামীদের মধ্যে বর্তমানে আছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।