বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভারে খুলনা টাইগার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নিয়েছে নুরুল হাসানের দল। রবিউল রঙ ছড়ালেন জহুর আহমেদে। খুলনা টাইগার্স অলআউট হলো অল্প রানে। ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য রঙ হারিয়ে বিবর্ণ হতে থাকলো রংপুরের সবকিছু। দেখা দিলো হারের শঙ্কাও। ঠাণ্ডা মাথায় এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। শেষদিকে শামীম পাটোয়ারীও তুললেন ঝড়। রংপুর রাইডার্স পেল জয়ের দেখা।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। জবাব দিতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রংপুর।

টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর থেকেই খুলনাকে বড় রান সংগ্রহের সুযোগ দেয়নি রংপুর। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট এনে দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৪ বলে ১ রান করা তামিম ইকবালকে কট এন্ড বোল্ড করেন তিনি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শারজিল খানকেও সাজঘরের পথ দেখান এই আফগান পেসার। এর আগের ওভারে হাবিবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাকিবুল হাসান। পাওয়ার প্লের ভেতরই ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খানকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু হাত খুলে খেলতে গিয়ে রবিউলের বলে নাঈম শেখকে ক্যাচ দেন ইয়াসির, আউট হন ২২ বলে ২৫ রানে। একই ওভারে সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে রংপুরকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান রবিউল।

তার সঙ্গে তাল মেলান রাকিবুলও। ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই আজম খানকে তুলে নেন এই স্পিনার। ২৩ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রানে আজম বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খুলনার মজবুত সংগ্রহের সম্ভাবনাটাও ফিকে হয়ে যায়। রবিউল এরপর তুলে নেন আমাদ ভাট ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেটও। দুটি করে উইকেট নেন ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ। ফলে ২০তম ওভার শেষ হওয়ার দুই বল আগেই গুটিয়ে যায় খুলনা।

জবাব দিতে নামার পর শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সেরও। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রনি তালুকদার প্রথম ব্যাটার হিসেবে যখন সাজঘরে ফেরত যান, তখন স্কোরকার্ডে কেবল ১ রান। একাদশে সুযোগ পাওয়া সায়েম আইয়ুবীও সফল হননি ব্যাট হাতে। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ২ চারে ৯ বলে ১০ রান করে আউট হন ওয়াহাব রিয়াজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

তার বিদায়ের আগেই আউট হন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া মেহেদী হাসান। ১২ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ৩১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। এরপর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। তবুও দলের ভয় যেন দূর হচ্ছিলো না ঠিকঠাক। ম্যাচ কঠিন হচ্ছিলো ক্রমেই।

শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ৩৫ রান। এমন সময়ই এগিয়ে আসেন শামীম পাটোয়ারী। আমাদ ভাটের করা ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে হাঁকান হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি। এরপর ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৬ বলে ৪৪ রান করে শোয়েব সাজঘরে ফিরলেও জিততে অসুবিধা হয়নি রংপুরের। ৩ চারে ১০ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম।