বিশ্বকাপ ট্রফিটার যেন দীর্ঘদিনের একটা আক্ষেপ ঘুচলো। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের হাতে যেতে পেরে যেন ট্রফিটাও স্বস্তিবোধ করলো। যেন তার মাঝে বিশ্বসেরার যে গৌরবের প্রতীক লুকিয়ে আছে, তার যেন সম্পূর্ণ প্রকাশ ঘটলো মেসির হাতে উঠতে পেরে। বিশ্বসেরার ট্রফি তো বিশ্বসেরা ফুটবলারের হাতেই মানায়।
পেলে-ম্যারাডোনা কালজয়ী, শতাব্দীর সেরা ফুটবলার। মেসি যে এবার তাদেরও ছাড়িয়ে গেলেন। সোনালি ট্রফিটা হাতে তুলে নিয়ে মেসি যেমন নিজেকে পূর্ণ করলেন, তেমনি ট্রফিটাও যেন নিজেকে পূর্ণ করলো, গৌরবান্বিত করলো মেসির হাতে উঠতে পেরে।
আর্জেন্টাইন সমর্থক ও সাধারণ ফুটবলপ্রমেীরা লুসাইল স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন মেসিদের এই আনন্দ এক নজর দেখার জন্য, ছাদখোলা বাসে মেসিদের উদযাপন দেখার জন্য।
মেসিদের জন্য কয়েক লাখ সমর্থক লুসাইল সিটিতে ভিড় জমান। মেসিদের সামনে থেকে দেখতে লাখো মানুষের সেই অপেক্ষা। আর্জেন্টিনার সমর্থক ছাড়াও সাধারণ জনগণ মেসিদের এক নজর দেখতে চান। খেলা দেখে যারা গাড়ি নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন তারা সবাই দেড়- দুই ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় ছিলেন। গাড়ি একদম নড়েনি। মেট্রোরেলও ছিল স্থবিরতা।
আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশন মেসিদের জন্য দ্রুতই ছাদ খোলা বাস ব্যবস্থা করে। সেই বাসের দ্বিতীয় তলায় ট্রফি ও পতাকা নিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা হাত নেড়ে পথ চলতে থাকেন। দুই পাশে লাখো সমর্থক। মেসিদের ছাদ খোলা বাসের পেছনে ছিল চ্যাম্পিয়ন লেখা বাস। সেই বাসও তাদের পেছন পেছন গেছে।
ছাদ খোলা বাসের পাশাপাশি আতশবাজিও ছিল। সেই আতশবাজিতে লুসাইল সিটি ছিল রঙিনময়। লুসাইল স্টেডিয়ামকে আর্জেন্টিনার হোম ভেন্যুও বলা যায়। পুরো টুর্নামেন্টের ৭ ম্যাচের মধ্যে চারটিই তারা খেলেছে এই ভেন্যুতে। সৌদি আরবের বিপক্ষে এই ভেন্যুতে হার দিয়ে শুরু আর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার এই লুসাইলেই।