গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় শুক্রবার (৭ই ডিসেম্বর) অন্তত ৬৩ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় গাজার নুসাইরাইতের একটি ক্যাম্পে মারা গেছে ২১ জন। গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার উত্তরাঞ্চলের অবরুদ্ধ কামাল আদওয়ান হাসপাতালের চারপাশে একাধিক বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে। তবে কামাল আদওয়ান হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু বানানো বা সেখানে প্রবেশের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরাইল। তাদের দাবি, তারা কেবল হাসপাতালের আশপাশ বা “সন্নিহিত” এলাকায় আক্রমণ করেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা ও স্থল হামলা করে আসছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় এই পর্যন্ত সাড়ে ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখের বেশি মানুষ।
গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে।
একজন হামাস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার কাজ আবার শুরু করেছে। তবে নেতানিয়াহুর সরকার এখনও একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়ে সম্মতি জানায়নি এবং ইসরায়েল ব্রডকাস্টিং অথরিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচিত কাঠামোটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।