গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আবারও ফেরার ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশীদার হিসেবে থাকবে কাতার।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইসরাইল। নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরইমধ্যে সতর্ক করে জানিয়েছেন, আগামী ২০ জানুয়ানি তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে চান। আর এই প্রচেষ্টা শুরু করতে কাতার এবং ইসরাইলে ভ্রমণ করেছেন ট্রাম্পের মনোনীত মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ।
ভিন্ন এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির আলোচনায় দোহা তার ভূমিকা পুনরায় শুরু করছে। ট্রাম্পের মনোনীত মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ নভেম্বরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সাথে আলাদাভাবে দেখা করেন।
এই বৈঠকগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আবারও নিজের ভূমিকা শুরু করেছে কাতার। গত নভেম্বরে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে আপাতত সরে দাঁড়ানোর কথা জানায় দোহা। ওই সময় দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিল, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরাইল ও হামাস ‘আন্তরিকতা দেখালে; তারা আবারও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ফিরতে রাজি। অবশেষে মাস না যেতে নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলো কাতার। গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে বছরব্যাপী যে যুদ্ধ চলছে, সেটি থামানোর লক্ষ্যে আমেরিকা ও মিশরের পাশাপাশি কাতারও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছিল।