অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গাজা সিটির আল-বুরাক স্কুলে চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে। গাজার বৃহৎ চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, হামলার পর হাসপাতালে এসব মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
তিনি বলেছেন, ’গাজার আল-নাসর এলাকার আল-বুরাক স্কুল থেকে ৫০ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুলটিতে আজ সকালে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান হামলা চালানো হয়।’
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওইদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় জাতিসংঘের ৯৯ কর্মী নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক এ তথ্য দিয়েছেন।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক জুলিয়েট টোওমা বলেন, গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
এই পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বিমান হামলায় সবমিলিয়ে ১১ হাজার ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে শিশু হলো ৪ হাজর ৫০৬ জন। এছাড়া ইসরায়েলিদের হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২৭ হাজার ৪৯০ জন।
৭ অক্টেবর বিমান হামলা শুরুর পর ২৮ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তারা এখন গাজা সিটির ভেতর অবস্থান করছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে প্রত্যেক দিন বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার ফটোগ্রাফাররা শত শত ছবি পাঠাচ্ছেন। এর মধ্যে কিছু ছবি এতোটাই হৃদয় বিদারক যে সেগুলো ছাপানোটাও অসম্ভব। যার মধ্যে আছে মারাত্মক আহত হওয়া শিশুদের হাসপাতালে নেওয়ার দৃশ্য, বাবা-মা ছোট্ট শরীরকে কাফনে মুড়িয়ে ধরে আছে, কখনও তাদের মুখটা শুধু দেখা যাচ্ছে।