রাজধানীর গুলিস্তানে সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ঘটনায় দগ্ধ ইয়াসিন আরাফাত (২৬) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। ওই ব্যক্তির শরীরে ৫৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩ জনে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সমন্ত লাল সেন তার মৃুত্যর বিষয়টি নিশ্চিত কওে বলেন, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো তাকে। শ্বাসনালীসহ তার শরীরে ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার।
মৃত ইয়াসিনের মামি মমতাজ বেগম জানান, তার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম আব্দুল খালেক। বর্তমানে রাজধানীর মগবাজারে মামা মোহাম্মদ আজিম ও মামি মমতাজ বেগমের বাসায় থাকতেন।
নিহতের মা ঝর্ণা বেগম জানান, সিদ্দিকবাজারে বাংলাদেশ স্যানেটারি নামে দোকানটিতে কাজ করতেন ইয়াসিন।
এর আগে গতকাল (বুধবার) দিবাগত রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটে দগ্ধ অবস্থায় মারা যান মুসা হায়দার নামে আরও একজন। আর বর্তমানে দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে মৃধা আজম ও মো. হাসান নামে দুইজন রয়েছেন আইসিইউতে। তবে ৮ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এছাড়া সম্রাট নামে একজনের মরদেহ ঘটনার ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেল থেকে কোনো পক্রিয়া ছাড়াই নিয়ে যান স্বজনরা। তার নাম জেলা প্রশাসনের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়নি।
গত মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের সাততলা ও পাঁচতলা দুটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুইন মার্কেটের সাততলা ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়।