চীনের সব ধরনের হুমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ানে পৌঁছালেন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মঙ্গলবার (দোসরা আগস্ট) এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে সেখানে যান তিনি। এর মাধ্যমে ২৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো রাজনীতিবিদ তাইওয়ানের মাটিতে পা রাখলেন।

তাইপেই এর সোংশান বিমানবন্দরে পেলোসিকে অভ্যর্থনা জানান তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ। আগামীকাল স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সাথে দেখা করার পর দেশটির আইনসভা চেম্বারে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে ন্যান্সি পেলোসির।

এদিকে ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছানোর খবরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়াতে আমেরিকা ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানিমূলক এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব দেশটিকে নিতে হবে। পাশাপাশি, চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাগত স্বার্থকে অবমূল্যায়নের জন্য মূল্যও দিতে হবে আমেরিকাকে।

গত রোববার সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে পেলোসির এশিয়া সফর শুরু হয়। সিঙ্গাপুর সফর শেষে মালয়েশিয়ায় যান ন্যান্সি। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও রয়েছে। মালয়েশিয়া থেকেই আজ পেলোসি তাইওয়ানে গেলেন।

এদিকে ন্যান্সি পেলোসির সফর ঘিরে মঙ্গলবার দিনভর তাইওয়ান সীমান্তের আকাশসীমায় টহল দিয়েছে চীনা যুদ্ধবিমান। ন্যান্সি তাইপেতে অবতরণের কিছুক্ষণ আগে তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করে কয়েকটি চীনা বিমান তাইওয়ানের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে।

চীনা যুদ্ধবিমানের সম্ভাব্য হামলা এড়াতে চীন সাগর এড়িয়ে ফিলিপাইন ঘুরে তাইপেতে পৌঁছেছে পেলোসিকে বহনকারী উড়োজাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সি-৪০ যুদ্ধবিমানের একটি বহর উড়োজাহাজটির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল।