শেষ ওভার। ছয় বলে দরকার ৬ রান। হাতে তখনও তিন উইকেট। ম্যাচটা জিতে যাওয়াই স্বাভাবিক ব্যাটিং দলের, সেটা না হলেও বড়জোর সুপার ওভারে গড়ানো; অথবা ছয় রান নিতে না পারার ব্যর্থতা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মেয়েদের ক্ষেত্রে হলো না এর কিছুই।

৫ বলে তারা হারালো তিন উইকেট, হলো অলআউট। ম্যাচটা অবশ্য এত সহজ ছিল না এক ওভার আগেও। ২ ওভারে তখন দরকার ছিল ২০ রান। এক ওভারেই ১৪রান দিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলার চিনেল্লো হেনরি, তাকে দুই বলে দুই চার হাঁকিয়েছিলেন কেটি মার্টিন। শেষ ওভারে অবশ্য আর পারেননি জেতাতে। ৩ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েরা।

এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনেন্দ্রা ডটিন সাজঘরে ফেরত যান ৭ বলে ১২ রান করে। তিন নম্বরে খেলতে নামা কাইসিভা নাইট করেন ৫ রান।

তবে সেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার হেইলেই ম্যাথিউস। ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১২৮ বলে ১১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ বলে ৩৬ রান আসে চেডিয়ান নেশনের ব্যাট থেকে। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩ উইকেট নেন লিয়া তাহুহু।

জবাব দিতে নেমে ৪৭ রানে দুই উইকেট হারানো কিউইদের কক্ষপথে রাখেন অধিনায়ক সোফি ডিভাইন। এরপর আবার মাঝে ধ্বস নামে তাদের। ১২৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড ১৬২ রানে হারায় ৬ উইকেট।

১২৭ বলে ১০৮ রান করে ডেভাইন সাজঘরে ফেরত গেলে নিউজিল্যান্ড কিছুটা বিপদে পড়ে। স্বাগতিকদের সেখান থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন কেটি মার্টিন। কিন্তু তিনি ৪৭ বলে ৪৪ রান করে আউট হন। নিউজিল্যান্ডও পারেনি জয় দিয়ে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ শুরু করতে।