গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম-কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে গতকাল (রবিবার) দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের ওই সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হলে জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দল থেকে বহিষ্কারের ৭ দিন পর ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ভিডিওতে তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করতে এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

জাহাঙ্গীরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন দল তাকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়। এরপর তার ‍দুর্নীতি ও অপকর্মের বিষয়গুলো আবারও সামনে আসে।

আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাহাঙ্গীর। তিনি তার মাকেও প্রার্থী করেন। কিন্তু খেলাপি ঋণের দায়ে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। আদালত তার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। এখন তিনি মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।