বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে বাংলাদেশে আনার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মেসিদের দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কয়েকবার। কিছুটা ইতিবাচক থাকলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি আলবিসেলেস্তিরা। অবশেষে বাংলাদেশে আসছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডবল আমারিলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জুনে বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে আর্জেন্টিনা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসের ১২ থেকে ২০ তারিখ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে পারে আর্জেন্টিনা।
নতুন বছর ২০২৩ উপলক্ষ্যে খেলার সূচি পরিকল্পনা করছে বিশ্বের সব দেশ। বাদ নেই আর্জেন্টিনাও। নতুন বছরে দেশটির জাতীয় দল কোথায় কোথায় খেলবে সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে তারা। আলোচনা মোতাবেক চলতি বছরের জুনের ১২ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে লিওনেল মেসিদের বাংলাদেশ পাঠাতে চাইছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন।
এক দশকেরও বেশি সময় আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশে পা রেখেছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। প্রীতি ম্যাচ খেলতে আসা দলটা তখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ছিল না। তবে দর্শকদের মন ঠিকই মাতিয়ে গিয়েছিল। আবারও লাল-সবুজের দেশে আসতে যাচ্ছেন মেসিরা। এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তমকা গায়ে জড়িয়ে। বাংলাদেশের মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসার কথা জানে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
২০১১ সালে বাংলাদেশে মেসিদের আনতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪০ কোটি টাকা। বর্তমানে আর্জেন্টিনা দল ও মেসিদের ব্রান্ড ভ্যালু বেড়েছে বহুগুণ। মাত্রই তারা জিতেছে বিশ্বকাপ। এবার তাদের আনতে প্রয়োজন প্রায় ১০০ কোটি টাকা। আর্জেন্টিনার আসা শতভাগ নিশ্চিত হলে তারপরই ঠিক করা হবে তাদের প্রতিপক্ষ। ১২ জুন থেকে ২০ জুনের মধ্যে হতে পারে ম্যাচটি।
শুরুতে পিএসজি-লিভারপুল মধ্যকার ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করেছিল বাফুফে। তাতে নেইমার, এমবাপ্পে, মোহাম্মদ সালাহদের এক মাঠে দেখার সুযোগ ছিল। কিন্তু পিএসজির চলতি বছর ক্লাব ফ্রেন্ডলি ম্যাচে কোনো সূচি খালি না থাকায় আর্জেন্টিনাকে আনার পথেই হাঁটছে বাফুফে।