রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘিরে চীনকে কঠিন বেকায়দায় ফেলতে চাইছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ না করলে তাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। এমনকি বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি ৭ এবং ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও অব্যাহতভাবে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন, যেন চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে তারা।
এ অবস্থায় ট্রাম্পকে এবার কঠিন এক হুমকি দিয়ে বসেছে চীন। চতুর্দিক থেকে চীনকে চাপে রাখার যে কৌশল হাতে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে গুন্ডামি আখ্যা দিয়েছে বেইজিং। একইসঙ্গে দ্রুত এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেছে, যদি ট্রাম্প তার অপকৌশল ত্যাগ না করেন, তাহলে ফলাফল ‘ভালো হবে না’। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, রুশ তেল কেনাকে ইস্যু করে বেইজিংকে চাপে রাখার যে কৌশল ওয়াশিংটন নিয়েছে, তা তাদের একতরফা চিন্তাভাবনা, গুন্ডামি এবং অর্থনৈতিক জবরদস্তির আরও একটি উদাহারণ। রাশিয়ার কাছ থেকে চীন সম্পূর্ণ বৈধভাবে তেল কিনছে এবং এটি অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং জ্বালানি খাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের অংশ। সর্বোপরি, এর সঙ্গে চীনের জাতীয় স্বার্থ জড়িত এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে চীন কখনও পিছু হটবে না।
মূলত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ জ্বালানি তেলের দামও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।
তবে, এই নিষেধজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখে চীন এবং ভারত। বর্তমানে রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা এ দুটি দেশ।
সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রুশ তেল ক্রয়ের মাধ্যমে এ দুই দেশ রাশিয়াকে যুদ্ধের অর্থ যোগাচ্ছে। এর শাস্তি হিসেবে ইতোমধ্যে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি।
চীনের ওপর এখনও শুল্ক না চাপালেও ট্রাম্প বলেছেন, বেইজিং যদি অবিলম্বে রুশ তেল ক্রয় বন্ধ না করে, তাহলে চীনের ওপর ১০০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হবে।