ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে দেশের রাজনীতিতে নতুন একটি দল আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি।

শিক্ষা-সমতা-সুবিচার যেখানে, আ-আম জনতা হাঁটব সেখানে। এই স্লোগান’ কে ধারণ করে যাত্রা শুরু করলো নতুন এই রাজনৈতিক দল। মানুষের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতসহ নয়টি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আ-আম জনতা পার্টি কাজ করবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন পার্টির আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। তিনি ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। উদ্বোধনী আয়োজনে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজন ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ২৯৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দলের ঘোষণাপত্র পাঠকালে রফিকুল আমীন বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও দেশের মানুষ এখনও বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন দলটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং অফিস-আদালতে ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রবর্তনসহ সময়োপযোগী বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।’

আহ্বায়ক রফিকুল আমীন দাবি করেন, তাদের দল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় থাকবে এবং দেশে রাজনৈতিক চেতনার জাগরণ ঘটাবে।

দলটির সদস্যসচিব ফাতিমা তাসনিম বলেন, ‘রাজনৈতিক সচেতনতা ছাড়া দেশে ফের স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা অতীতে আওয়ামী স্বৈরাচারকে বিদায় দিয়েছি, ভবিষ্যতেও কাউকে স্বৈরাচার হতে দেব না।’

দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি একটি গণমুখী, রাজনৈতিক ন্যায়ের ভিত্তিতে গঠিত সংগঠন হিসেবে কাজ করবে, যেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণই হবে মূল শক্তি।