টানা তাপপ্রবাহের মধ্যেই চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ বিভিন্নস্থানে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এখানে থেমে থেমে বৃষ্টি নেমে আসে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরে আসে স্বস্তি। পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় ছিল। অবশেষে লোনা জলের এই সমুদ্রশহরকে গা ভিজিয়ে দিয়েছে বৃষ্টি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি থাকবে আরও কয়েকদিন। তাপমাত্রা কমে আসছে। সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৭ শতাংশ। আর বৃষ্টি চলাকালে দুপুর ১২টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে ‘তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা’ অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ১০ মে পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তারপরে তাপপ্রবাহ আবার বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত বছর এপ্রিল মাসে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরের বিদায়ী এপ্রিলে মাত্র ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে ৮১ ভাগ কম। মে মাসের ১৬ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে সমুদ্রে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা নিম্ন চাপ হয়ে ঘুর্ণিঝড় রূপ নিতে পারে।