ঢাকাসহ সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক। উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলোতে শীতের প্রকোপ দিনদিন বেড়েই চলছে। গাইবান্ধায় হাড় কাপাঁনো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা নদী বেষ্টিত চরের মানুষেরা কষ্টে রয়েছেন। জয়পুরহাটেও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। দিনেও হেটলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়। সোমবার সকালে সেখানে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা‌।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে মেঘ ও কুয়াশা কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও কমবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ মধ্যে ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

জেলায় সকাল ৮/৯টা পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারদিক। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যাচ্ছে। সকাল পর্যন্ত যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করছে। শীতের এ সময়টাতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে রিকশা-ভ্যান, অটোচালক, দিনমজুর খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। সকালে তারা কাজে যেতে পারছে না। কনকনে ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। দৈনন্দিন আয় রোজগার কমে গেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র অসহায় মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।

এদিকে নাটোরে বৃষ্টির মতো গুড়ি কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। কুয়াশার এই অবস্থা বিরাজ করলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।