যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে (লন্ডন সময়) ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি দেয়।

সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে বলা হয়, লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী বিমানের প্রতিটি কোনায় ঘোরাফেরা করেন। তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন।

প্রধানমন্ত্রী যাত্রীদের সঙ্গে বেশকিছু সময় কাটান। এই সময় কয়েকজনকে প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং তাঁর সাথে সেলফি তোলেন। কয়েকজন নারী যাত্রীকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা গেছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান। লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত এপিপিজির সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) এক প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।