ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস ছেড়ে সাবেক ক্লাব বেনফিকায় যোগ দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ডি মারিয়া। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে পর্তুগালের এই ক্লাবটিতে খেলেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।বেনফিকায় যোগ দিয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে বর্ণাঢ্য যাত্রা শুরু হয়েছিল আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার। সেখান থেকে রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-পিএসজির হয়ে নিজেকে প্রজন্মের অন্যতম সেরার কাতারে নিয়ে গেছেন এই আর্জেন্টাইন। গত বছর পিএসজি থেকে সিরি আ’র ক্লাব য়্যুভেন্তাসে ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দিয়েছিলেন ‘এল ফিডেও’ নামে খ্যাত ডি মারিয়া। কিন্তু এক মৌসুম পরেই ঠিকানা বদলালেন তিনি।
দীর্ঘ এক যুগ পর নিজের সাবেক ক্লাবে ফিরলেন ৩৫ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন। ২০০৭-২০১০ সাল পর্যন্ত প্রিমেরা লিগের এই জায়ান্ট ক্লাবে খেলেছিলেন তিনি। ইউরোপে এটাই ছিল তার প্রথম ক্লাব। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে নিজের শিকড়েই যেন ফিরলেন এই কিংবদন্তি।
বুধবার (৫ জুলাই) বেনফিকা এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে দলে ভেড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। বেনফিকার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আনহেল দি মারিয়া বেনফিকার সঙ্গে চুক্তি সই করেছেন এবং কোচ রজার সিমিটের বহরে তিনি নতুন সংযোজন।’ ক্লাবের পক্ষ থেকে কিছু না জানানো হলেও সংবাদমাধ্যমের দাবি, এক মৌসুমের জন্য এই তারকার সঙ্গে চুক্তি করেছে ক্লাবটি।
এরপর থেকেই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল, নিজের পুরনো ক্লাবেই ফিরছেন ডি মারিয়া। আর্জেন্টাইন ক্লাব রোসারিও সেন্ট্রালে খেলা শুরু করলেও ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর নজর কাড়েন বেনফিকাতেই। এই পর্তুগিজ ক্লাবে খেলার সময়েই প্রয়াত কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা তাকে ‘আর্জেন্টিনার পরবর্তী সুপারস্টার’ বলে আখ্যা দেন।
২০১০ বিশ্বকাপে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পর রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে ভেড়ায়। লা লিগা জায়ান্টদের হয়ে লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতেন। ২০১৪ সালে দীর্ঘ এক যুগ পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে রিয়াল। বহুল প্রত্যাশিত সেই লা দেসিমা জয়ের পথে ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ডি মারিয়া।
তবে সে মৌসুম শেষেই রেকর্ড মূল্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্টদের হয়ে মাত্র এক মৌসুম খেলেন তিনি। সেখানে সাফল্য না মেলার পর ২০১৫ সালে যোগ দেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি)। সেখানে সাত মৌসুমে পাঁচবার লিগ জেতেন তিনি। ইউরোপের মোট তিনটি দেশের লিগ শিরোপা জিতেছেন ডি মারিয়া।