সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। শ‌নিবার (১৩ জানুয়া‌রি) ছয় আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি নি‌য়ে নি‌জেদের অবস্থান জা‌নি‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ৬টি সংস্থার বিবৃতির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে নতুন নির্বাচনের আহবানও প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও অনেক দেশ প্রশংসা করেছে। নতুন সরকারকেও স্বাগত জানিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে নির্বাচনের আহ্বান অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচনে গ্রামীণ অনেক স্থানে ভোট পড়ার হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তাতে ভোট প্রদানের গড় হার প্রায় ৪২ শতাংশ হয়। কিন্তু শহর এলাকায় তুলনামূলক কিছু কম ভোটার উপস্থিতি ছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক, যারা সক্রিয়ভাবে মাঠ থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছেন, তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মোকাবিলা করেছে দাবি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে, তাদেরকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সব নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এসব পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল।

গণতন্ত্র ও নির্বাচনবিরোধী শক্তি যারা নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল তাদের উৎসাহিত করতে এই বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।