ইউক্রেনে পুতিনের ঘোষিত ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পুতিনের এই সিদ্ধান্তকে কৌশলগত চক্রান্ত বলেও আখ্যায়িত করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ (শুক্রবার) এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তিনি সেনাদের নির্দেশ দেন, তারা যেন ৬ ও ৭ জানুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকেন।

মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেনে বসবাসরত অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যেন নির্বিঘ্নে বড়দিন পালন করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতেই এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে যুদ্ধবিরতি রাশিয়ার হামলা ও প্রতিরক্ষামূলক অপারেশন উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কিনা তা উল্লেখ করা হয়নি এতে। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে গেলে রাশিয়া পাল্টা আঘাত করবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি হলো পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর অগ্রগতি রোধ করা এবং মস্কোকে আরও সৈন্য নিতে অনুমতি দেওয়ার একটি কৌশল।

বৃহস্পতিবার রাতে ক্রেমলিন ও রাশিয়ানদের সম্বোধন করে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরও বলেন, মস্কো বারবার কিয়েভের শান্তি পরিকল্পনাকে উপেক্ষা করেছে। জেলেনস্কি এক ভিডিও ভাষণে অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা এখন ক্রিসমাসকে একটি আবরণ হিসাবে ব্যবহার করতে চায়। তিনি বলেন, যখন রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেন ত্যাগ করবে বা তাড়িয়ে দেওয়া হবে, তখনই কেবল যুদ্ধ শেষ হবে।

জানা গেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের বাসিন্দারা অধিকাংশই অর্থোডক্স খ্রিস্টান। অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা ক্রিসমাস উদযাপন করেন ৬-৭ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার, রুশ অর্থোডক্স চার্চের প্রধান মস্কোর প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল এ ক্রিসমাস উপলক্ষে রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই পক্ষকেই যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান জানান।