ব্রাজিলের পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ভবন ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালানোর অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৫‘শ জনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এদিকে, দেশটির সরকারি দলের নেতারা বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার নিন্দা জানিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন। তবে শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে শান্ত থাকার আহŸান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে দেশটির পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ভবন ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। রোববার, রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় শত শত মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসব স্থাপনায় হামলা চালায়।

গত অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জয়ী হয়ে জানুয়ারি এক তারিখে দায়িত্ব নেন উদারপন্থী লুলা ডি সিলভা। এই নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভে নামে কট্টর ডানপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর সমর্থকরা।

এর আগে সিএনএন বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বলসোনারোর সমর্থকরা কংগ্রেস ভবন ও সুপ্রিম কোর্টের জানালা ও চেয়ার ভেঙে তছনছ করছে। তারা কংগ্রেস ভবনের ছাদেও উঠেছে।

গ্লোবো টিভি চ্যানেলের ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেও বিচরণ করছে। অনেকে সবুজ ও হলুদ রঙের কাপড় পড়েছে। এটি বলসোনারো দলের প্রতীক।

বলসোনারোকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হওয়া লুলা ডা সিলভা এই হামলার উসকানিদাতা হিসেবে বলসোনারোকেই দায়ী করেছেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি শপথ নেন লুলা। তিনি দাবি করেছেন, সর্বশেষ নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নতুন করে নির্বাচন দাবি করার জন্য বলসোনারো তার সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করেছেন।

এদিকে, গত ৩০ অক্টোবরের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করেনি বলসোনারো। লুলার শপথ গ্রহণের আগেই তিনি ব্রাজিল ত্যাগ করেছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন ব্রাজিলের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।