বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের তিন সেনা সদস্য আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। আজ শনিবার (৩০শে মার্চ) ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ২ ওয়ার্ড তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের পর তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেয়া হয় তাদের। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। এর আগে গত ১১ই মার্চ (সোমবার) তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর তিন জন কর্মকর্তাসহ ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, শনিবার মিয়ানমারের ৩ সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১১ মার্চ তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর তিন জন কর্মকর্তাসহ ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরের বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের ক্যাম্পগুলো ইতোমধ্যে দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। খুব শিগগিরই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা ও বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।