ঢাকায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ৪টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে। আজ রোববার (৭ই আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোনারগাও হোটেলে প্রায় দেড় ঘন্টার এ  বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

গণমাধ্যমে দেয়া ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন ও নতুন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতুর হস্তান্তর সনদ সই হয়েছে।

দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম জানান, বৈঠকে কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এছাড়া আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা চীন যাবার জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন। চীনের বাজারে ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত থাকা বাংলাদেশের পণ্য আরও অতিরিক্ত ১ ভাগ শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেছে চীন, যা কার্যকর হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে।

শনিবার বিকেলে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এরপর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সাথে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার কথা চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। এরপর দুপুর নাগাদ ঢাকা ছাড়বেন ওয়াং ই।