দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ইসি ভবনে সংলাপ শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এমন কোনো কথা সংবিধানে লেখা নেই। যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণের যাদের ওপর আস্থা নেই তারা তো নির্বাচনে আসবে না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে তা সংবিধানের কোথাও নেই। এছাড়া পৃথিবীর কোনো আইনেও নেই। যাদের ক্যাপাসিটি নেই, জনসমর্থন নেই, জনগণের প্রতি যাদের আস্থা নেই তারা তো নির্বাচনে আসবেই না।
নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধান সম্মতভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আগামীতে ভোট সুষ্ঠু হবে, যখন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে নির্বাচন কমিশন উৎসাহ প্রদান করবে।
‘নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন যে বক্তব্য দিয়েছে এবং যে ব্যবস্থা নিয়েছে, আমাদের সরকার সহায়তা করেছে, তার বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখছি। ১৯৭২ সালে নিয়ম ছিল, ব্যালট পেপারের পেছনে সিল ও অফিসারের স্বাক্ষর থাকবে। তবে আটাত্তরে সেটাতে শুধু সিল রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এবার আবার প্রতিটি ব্যালট পেপারের পেছনে সিল ও স্বাক্ষরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে নির্বাচন আরও সুষ্ঠু হবে। এছাড়াও আমাদের যে ব্রিফ দেওয়া হয়েছে তাতে মনে করি সংবিধান সম্মতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’-যোগ করেন ফারুক খান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ করবে না বলে জানিয়েছে। তাদের ছাড়া কীভাবে নির্বাচন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, এটা সংবিধানেও লেখা নেই, পৃথিবীর কোনো আইনেও লেখা নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমরা দেখেছি, অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। সুতরাং যেসব রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা নেই, জনসমর্থন নেই, জনগণের যাদের ওপর আস্থা নেই তারা তো নির্বাচনে আসবে না।
বিএনপির বিভিন্ন রাজনীতিক কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সহিংসতাপূর্ণ। এটা একটি দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি বলা যেতে পারে না। তারা ‘টেরোরিস্ট অ্যাকশন’ করছে। যেকোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আইনবিরোধী কাজ করে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, নিচ্ছে ও আগামীতেও নেবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানোর জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। এরই অংশ হিসেবে আজ সকালে ২২টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও নয়টি দল অংশ নেয়নি। বাকি ১৩ দলের সঙ্গে ইসি বৈঠকে বসে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগও আছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।