আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার পেয়েছেন গীতাঞ্জলি শ্রী। এটা হিন্দি সাহিত্যের কোনো উপন্যাসের প্রথম আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার। ভারত ভাগের ওপর লেখা ‘টোম্ব অব স্যান্ড’ উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। স্বামী মারা যাওয়া ৮০ বছরের এক নারীর জীবনে দেশভাগের প্রভাব নিয়ে লেখা এই উপন্যাসটি।

হিন্দি ভাষায় লেখা প্রথম বই হিসেবে এটি ৫০ হাজার পাউন্ড মূল্যমানের এই পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। উপন্যাসটি হিন্দি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন আমেরিকান অনুবাদক ডেইজি রকওয়েল। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার দেওয়া হয়। এই পুরস্কারের জন্য যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ড থেকে প্রকাশিত ইংরেজিতে লেখা বা অনূদিত উপন্যাস বিবেচিত হয়ে থাকে।

পুরস্কার পাওয়ার পর গীতাঞ্জলি শ্রী বলেন, ‘কখনোই বুকারের স্বপ্ন দেখিনি, আমার কখনও মনে হয়নি এই পুরস্কার পেতে পারি। এটা বিশাল স্বীকৃতি। আমি বিস্মিত, আনন্দিত, সম্মানিত।’

গীতাঞ্জলি শ্রী আরও বলেন, ‘আমার এবং এই বইটির পেছনে রয়েছে হিন্দি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্য ভাষার একটি সমৃদ্ধ ও সাহিত্য ঐতিহ্য। এই ভাষার সেরা লেখকদের সম্পর্কে কিছু জানা গেলে বিশ্বসাহিত্য আরও সমৃদ্ধ হবে।’

বিচারক প্যানেলের চেয়ার ফ্রাঙ্ক ওয়েন বলেন, প্যানেল গীতাঞ্জলির উপন্যাসে মুগ্ধ হয়েছে। ফ্রাঙ্ক আরও জানান, এরকম কোনও উপন্যাস তিনি আগে কখনও পড়েননি। পুরস্কারের অর্থ গীতাঞ্জলি শ্রী এবং বইটির অনুবাদক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেইজি রকওয়েলের মধ্যে ভাগ করা হবে।

৬৪ বছর বয়সী গীতাঞ্জলি শ্রীর জন্ম ভারতের উত্তর প্রদেশে। এই লেখকের তিনটি উপন্যাস ও বেশ কয়েকটি গল্পসমগ্র রয়েছে।