রাজধানীর গোপীবাগে যশোর থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের আগুন পরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসা ট্রেনটিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের তিনটি কামরা ও পাওয়ার কার পুড়ে যায়। আগুন নেভানোর পর ট্রেন থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, যাত্রীবেশে উঠে ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। যারা সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

মানুষের স্বাভাবিক জীবনধারা ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটনা হয়েছে বলে মনে করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এটা নাশকতা, তা স্পষ্ট। মানুষ এ ধরনের সহিংসতা গ্রহণ করতে পারে না।

সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ট্রেনে কতজন যাত্রী ছিলেন, কারা ছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি।

নাশকতা রোধে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে উল্লেখ করে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ঢাকায় নাশকতার অন্তত ৪০টি ও ঢাকার বাইরে অনেক পরিকল্পনাও নস্যাৎ করা হয়েছে।