বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জিতলেও বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ান ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের করা ৩৬৫ রানের বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ৪৮.২ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগারারা। ফলে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হারতে হয় তাদের।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ রানে টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তানজিদ, নাজমুল শান্ত, সাকিব ও মেহেদী মিরাজ কোনও অবদান রাখতে পারেননি। যার ধাক্কাটা পরের ব্যাটাররা আর সামাল দিতে পারেননি।
ওপেনার লিটস দাস ৬৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা না হওয়ায় কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রয়োজনে সময় বড় জুটি না হওয়ায় ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে তারা ছিটকে যায়।
দলের পক্ষে মুশফিক ৫১, হৃদয় ৩৯ রান করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৪৮.২ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২২৭ রানে। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন রিস টপলি। ৪৯ রানে দুটি নিয়েছেন ক্রিস ওকস। একটি করে নিয়েছেন স্যাম কারান, আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
এর আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেছেন মালান। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং মালান মিলে আজ দেখেশুনেই খেলেছেন টাইগার বোলারদের। দুজন মিলে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১১৫ রান এবং দুজনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক।
রুটের সঙ্গে পরে মালান গড়েন ১৫১ রানের এক জুটি। ইনিংস সর্বোচ্চ এ জুটি গড়ার পথে ইংলিশ এই ওপেনার তুলে নিয়েছেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিও। ৯১ বলে সেঞ্চুরি করা মালান পরে শেখ মাহেদীর বলে বোল্ড আউট হয়েছেন। দলীয় ২৬৬ রানে সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন নিজের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৪০ রান।
মালান ফেরার পর অবশ্য দ্রত বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশী বোলাররা। ১০ বলে ২০ রানের ক্যামিও এক ইনিংস খেলে ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার ফেরার পর দলীয় ৩০৭ রানে সাজঘরে ফিরেছেন ৬৮ বলে ৮২ রান করা রুট। রুটকে আউট করার পরের বলেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে লিভিংস্টোনকেও ফিরিয়েছেন শরিফুল।
৪২ তম ওভারে শরিফুলের ওই জোড়া আঘাতের পর আর ইংলিশদের হয়ে তেমন কেউ হাল ধরতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩৬৪ রানে থামে বাটলারদের ইনিংস