ব্রাজিলে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিমানটিতে থাকা ৬২ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫৮ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দেশটির প্রেসিডেন্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট ও টার্বাইনযুক্ত ওই প্লেনটি ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য পারানার ক্যাসকাভেল থেকে সাও পাওলো শহরে যাচ্ছিল। ভয়েপাস এয়ারলাইন জানিয়েছে, সাও পাওলোর প্রধান বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভিনহেদো শহরে বিমানটি পতিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে, একটি বিমান উল্লম্বভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। আর এটি নিচে নামতে নামতে সর্পিল আকারে পাক খাচ্ছিল। বিমানটি বিধ্বস্ত কয়েকটি গাছের আড়ালে পড়েছে। এরপর সেখানে ধোঁয়ার কুণ্ডলী তৈরি করে।
ভয়েপাস এয়ারলাইনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কিংবা বিমানটিতে থাকা লোকদের শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে সেই সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি একটি আবাসিক ভবনের ওপর গিয়ে পড়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং স্থানীয় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
বিমানটির মডেল এটিআর ৭২-৫০০ টার্বোপ্রপ বলে ফ্লাইট রাডারে উল্লেখ করা হয়েছে। এটিআর কোম্পানিটি এয়ারবাস এবং ইতালীয় অ্যাভিয়েশন গোষ্ঠী লিওনার্দোর যৌথ মালিকানাধীন।
ঘটনাস্থলে সাতটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে সাও পাওলো রাজ্যের দমকল বাহিনী। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা দুর্ঘটনার শিকারদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।