দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য আগামী ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাগতিকদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেলেও প্রধানমন্ত্রী এতে যোগ দেবেন কি না, তা জানা যায়নি। পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক খান আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার (৯ জুলাই) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম জানায়, ব্রিকস নেতারা চলতি বছরের ২২ থেকে ২৪ আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন। জোহানেসবার্গ, গৌতেং-এর স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে (এসসিসি) শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিকস নেতারা ব্রিকস বিজনেস ফোরাম চলাকালীন ব্যবসায়িকদের সঙ্গে যুক্ত হবেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের সময় নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল এবং অন্যান্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবেন।

এর আগে গত জুন মাসে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় অনুষ্ঠিত আইএলও সম্মেলনে যোগদানকালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিকস-এর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাংলাদেশসহ ৮টি দেশকে ওই সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘জেনেভায় সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীকে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি ব্রিকস-এর জোহানেন্সবার্গের সম্মেলনে আমন্ত্রণ করেছেন। ইতোমধ্যে আমরা আমন্ত্রণপত্র পেয়েছি। আজকের বৈঠকে নিশ্চিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যাবেন কিনা চূড়ান্তভাবে জানানো হয়নি। আমার মনে হয় যাবেন।’

তিনি জানান, ব্রিকস আমাদের অবজারভার হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আরও ৭টি দেশকেও তারা আমন্ত্রণ করেছে। সম্মেলনে ব্রিকসে জয়েন করার আমন্ত্রণ জানালে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমি মনে করি যোগ দেওয়া উচিত। কারণ, এটি দিন দিন বড় ও কার্যকর অর্থনৈতিক সংস্থা হয়ে উঠছে।