ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালে বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির এই সংসদ ভবনে প্রাণঘাতী হামলার ২২তম বার্ষিকীতে বুধবার লেকাসভায় আইনপ্রণেতাদের আসনে অতর্কিত ঢুকে পড়েছে এক যুবক। এ সময় ওই যুবক হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে সংসদ কক্ষে আতঙ্ক তৈরি করেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা দুই মিনিটের দিকে লোকসভার অধিবেশন চলাকালে বড় ধরনের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। ওই সময় দুই যুবক দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে লোকসভার চেম্বারে ছুটে যায়।

জিরো আওয়ার চলাকালে অতিথি আসন থেকে সভাকক্ষে নেমে এসে দুইজন এই হামলা চালায়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় হামলাকারীসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো পলাতক রয়েছে দুইজন। গোটা ঘটনায় নিরাপত্তা গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা।

ঘটনার পর ভারতীয় সময় দুপুর ২টায় লোকসভা পুনরায় শুরু হয়। শুরুর আগে স্পিকার ওম বিড়লা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি ও দিল্লি পুলিশকে সহায়তা করতে বলেছি। দুজনকেই আটক হয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রও জব্দ করা হয়েছে। সংসদের বাইরে থাকা দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

নজিরবিহীন এক ঘটনার সাক্ষী হলো ভারতের পার্লামেন্টের লোকসভা। বুধবার যথারীতি চলছিলো শীতকালীন অধিবেশন। দুপুরে লোকসভায় ‘জিরো আওয়ার’ চলাকালে আচমকাই অতিথি গ্যালারি থেকে সভায় ঝাঁপ দেয় দু’জন। ঝাঁপ দিয়েই হাতে থাকা রং-বোমা ছুড়ে দেয় তারা। মুহূর্তের মধ্যে হলুদ ধোঁয়ায় কক্ষ ভরে যায়। এসময় ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ বলে স্লোগানও দিতে শোনা যায় হামলাকারীদের।

কিছুক্ষণের মধ্যে দুই সংসদ সদস্যের চেষ্টায় ধরা পড়ে হামলাকারীরা। পরে তাদের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় লোকসভা কক্ষের বাইরে থেকে হামলার সহযোগী দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরও দুইজন পালিয়ে যায়।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, নিয়ম মেনে অনুমতিপত্র যোগাড় করেই লোকসভার অতিথি গ্যালারিতে বসেছিলো হামলাকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা কর্ণাটকের এক সংসদ সদস্যের সাহায্যে অনুমতিপত্র যোগাড় করেছিলো। কর্ণাটকের সেই সংসদ সদস্যের নাম প্রতাপ সিমহা। তিনি বিজেপি সমর্থিত সংসদ সদস্য। এমন ঘটনায় নিরাপত্তা গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীদলের সাংসদরা।