তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু তুরস্কেই মারা গেছেন ১২ হাজারের বেশি মানুষ। আর সিরিয়ায় প্রাণহানি প্রায় তিন হাজার।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তা এবং মেডিক্যালের চিকিৎসকরা বলেছেন, ভূমিকম্পে কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ১২ হাজার ৩৯১ জন। এছাড়া সিরিয়ায় প্রাণ গেছে ২ হাজার ৯৯২ জনের।

উভয় দেশের উদ্ধারকারীরা বলেছেন, ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এখনো নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। দুই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভবন ও বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়াদের বেঁচে থাকার আশা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তবে তীব্র ঠান্ডার মধ্যেই উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। যোগ দিয়েছেন বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের উদ্ধারকর্মীরা।

সোমবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে সিরিয়া ও তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন সেখানে লোকজন ঘুমিয়ে ছিলেন। স্মরণকালের এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়া যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতিতে উদ্ধার অভিযান চালানোয় আটকে পড়া অনেকে মারা যাচ্ছেন।

ভূমিকম্পে বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। খাদ্য ও শীতের পোশাকের তীব্র সংকটে আছেন তারা। দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের জন্য তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে তিন লাখের বেশি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ার হাসপাতালগুলোতে আর জায়গা নেই। ফলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ভূমিকম্পের আগে সিরিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন ছিলো। তবে  বর্তমানে এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। চরম মানবিক সংকট সমাধানে ইউরোপিয় ইউনিয়নের কাছে আরও সহায়তার আবেদন জানিয়েছে সিরিয়ার সরকার।