ভারতের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা ও মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে (৬৬) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় ছেলে জিসান সিদ্দিকির অফিসের পাশেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে সাবেক এই মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ৬টি গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। যারমধ্যে ৪টি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় দ্রুত তাকে পার্শ্ববর্তী লিলাবতী হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে দুই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর এক হামলাকারীকে খোঁজার কথাও জানায় তারা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, দুই আটক ব্যক্তি কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এর সদস্য। এই অপরাধী চক্র পরিচালনা ও একাধিক হত্যার দায়ে তিহার জেলে আটক আছেন দলের নেতা লরেন্স।
কয়েক সপ্তাহ আগেই সিদ্দিক মৃত্যুর হুমকি পেলে তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। উল্লেখ্য এ বছরের শেষের দিকে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন আয়োজিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অজিত পাওয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদেরকেও খুঁজে বের করা হবে।’
কংগ্রেস নেতা মহারাষ্ট্রের রাজ্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছেন। তিনি এই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাহুল বলেন, ‘বাবা সিদ্দিকের মর্মান্তিক হত্যায় স্তম্ভিত ও শোকাভিভূত হয়েছি। এই ভয়াবহ ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে, মহারাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ধসে পড়েছে। রাজ্য সরকারকে এই হত্যার দায় নিতে হবে। ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
বলিউডের একাধিক তারকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন সিদ্দিক। জাঁকজমকপূর্ণ পার্টি আয়োজনের জন্য তার সুনাম ছিল। অতীতে তার আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন শাহরুখ খান, সালমান খান ও সঞ্জয় দত্তের মতো বড় তারকারা।
তিনি পশ্চিম বান্দ্রা থেকে তিনবার লোকসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি এনসিপিতে যোগ দেন।
বাবা সিদ্দিককে হত্যার জেরে সালমান খান তার জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ‘বিগ বস ১৮’র শুটিং বাতিল করেছেন।