আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬টি দেশে। এসব দেশের রোগীর সংখ্যা একশর বেশি। তাই আফ্রিকার বাইরে যেসব দেশে এখনো মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়নি সেই সব দেশের পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া ভ্যান কারখভ বলেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘মানুষ থেকে মানুষে যাতে এই ভাইরাস না ছড়ায়, এটা আমরা চাই। যেসব দেশে এই ভাইরাস এখনো ছড়ায়নি সেসব দেশে আমরা এমন পদক্ষেপ নিতে পারি।’
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো অন্য বিশেষজ্ঞরাও এই ভাইরাস নিয়ে ইতিবাচক কথা বলছেন। অনেক বিশেষজ্ঞও বলছেন, অনেক মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হবেন, এই আশঙ্কা কম।
ডব্লিউএইচও’র গুটিবসন্ত বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রোসামুন্ড লুইস বলেন, এই গোষ্ঠীর ভাইরাসগুলো নিজেদের পরিবর্তন (মিউটেট) করে না এবং তারা মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে।
ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ভাইরাসটির কারণে ১০০ জনের দেহে ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে এবং জ্বর এসেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মাঝে ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুব কম।