কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যায় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত শ্রাবস্তী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্মজ্যোতি ভিক্ষু মারা গেছেন। দিবাগত রাত (বৃহস্পতিবার) ২টা ৫২ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। গত রোববার (দোসরা জুলাই) রাতে ধর্মজ্যোতি ভিক্ষুকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় বিহারে ফেলে যায় দুর্বৃত্তদের। বিহারের টাকার লোভে দুর্বৃত্তরা এ ঘটাতে পারে বলে সন্দেহ করছেন বিহার কর্তৃপক্ষ।
নিহত শ্রীমৎ ধর্মজ্যোতি উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন। গত সোমবার সকালে বৌদ্ধবিহারের একটি কক্ষ থেকে ধর্মজ্যোতিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ বড়ুয়া বলেন, ‘রাতে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ভান্তেকে ফেলে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।’
নিহতের ছেলে সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘১৬-১৭ বছর আগে ধর্ম পালনের উদ্দেশ্যে সংসার ত্যাগ করেন বাবা। গত সাত বছর ধরে তিনি মরিচ্যার শ্রাবস্তী বিহারের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না।’ সেই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধবিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিলন বড়ুয়া বলেন, ‘টাকার লোভে এলাকার উচ্ছৃঙ্খল দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।’
ভিক্ষু ধর্মজ্যোতিকে দেখতে যান উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজীবসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, ‘বৌদ্ধভিক্ষুর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আশা করছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুতই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে।’
এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’