ইউক্রেনের মারিউপোলের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা এখন সম্পূর্ণ রাশিয়ার দখলে। শুক্রবার সেখানে আটকে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনীর ৫৩১ জনের শেষ দলটিও আত্মসমর্পণ করেছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা আসন্ন বলে এ সময় মন্তব্য করেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিউপোলে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রধান ঘাঁটি আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় রয়ে যাওয়া ৫৩১ জন সেনাসদস্যের সবাই শুক্রবার আত্মসমর্পণ করেছে। মস্কোর দাবি, গত ১৭ মে থেকে এ পর্যন্ত ৪ দিনে আজভস্তাল ইস্পাত কারখানা থেকে ২৪৩৯ জন ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘কারখানার বেসমেন্ট এলাকা, যেখানে এতদিন ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মগোপন করেছিল—বর্তমানে রুশ বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

শুক্রবার ইউক্রেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের সেনা বাহিনীর সদর দপ্তর (আজভস্তালের) সেনাসদস্যদের ওই এলাকা থেকে বের হওয়া এবং নিজেদের জীবন রক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। তারা সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছে।’

এদিকে, মারিউপোলের মতো পূর্ব ডনবাসও ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে, আর এ জন্য রাশিয়াকে আর্থিকভাবে মূল্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অপরদিকে, ফিনল্যান্ডে গ্যাস সরবহার বন্ধ করা ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে ফিনল্যান্ডের জ্বালানিবিষয়ক সরকারি প্রতিষ্ঠান গ্যাসাম।

অন্যদিকে, কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি পরিকল্পনা তৈরির কাজ করছে। আর ওই নৌবহরের অবস্থানের কারণে মস্কো দেশটির কয়েকটি বন্দরকে অবরোধ করে রেখেছে। এতে করে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ হুমকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা।