এবারের আসরের হট ফেভারিট সিলেট স্ট্রাইকার্সকে রীতিমতো উড়িয়ে দিলো রংপুর রাইডার্স। সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান সংগ্রহ করে সিলেট। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় সোহানের রংপুর রাইডার্স।
সিলেটের দেয়া ৯২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার রনি তালুকদারের নির্ভরশীল ব্যাটিংয়ে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে সহজ জয় তুলে নেয় রংপুর। নাইম ২১ বলে ১৮ রান করে রেজাউর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরলে ভাঙে জুটি।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মেহেদি হাসানকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন রনি। তবে মেহেদি দলীয় ৪৪ রানের মাথায় মাত্র ৮ রান করে ফেরার পরের বলেই শোয়েব মালিক ফেরেন কোনো রান না করেই। মাশরাফি বিন মর্তুজা একাই নেন এই দুই উইকেট। এতে কিছুটা চাপে পড়ে রংপুর। তবে চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে আসা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে ২২ রানের জুটি গড়ে শঙ্কা দূর করেন রনি।
১৩তম ওভারে ৯ বলে ৪ রান করে ফেরেন ওমরজাই। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন রনি। ৫ম উইকেট থেকে রনি ও নওয়াজ মিলে তোলেন ২৫ রান। এতেই ২৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে রংপুর। রনি তালুকদার ৩৮ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন আর মোহাম্মদ নওয়াজ ১৩ বলে একটি চার ও দুটি ছয়ে ১৮ রান করেন।
সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৮ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে চরম পর্যায়ের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। মাত্র ১৮ রানেই স্বাগতিকদের ৭ ব্যাটারকে পথ দেখান সাজঘরের। কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। শূন্য রানে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু টেল এন্ডারদের দৃঢ়তায় রংপুরের কাছে অলআউট হয়নি সিলেট।
এর সিংহভাগ কৃতিত্ব তানজিম রহমান সাকিবের। অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি করেন তিনি। ২১ বলে ২ ছক্কায় ২১ রান করেন মাশরাফি। অন্যদিকে ৩৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রান করে সিলেটের মান বাঁচান তানজিম। যার ফলে শতরান না পেরোলেও ৯ উইকেটে ৯২ রান করে টেবিল টপাররা। রংপুরের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ। দুটি মেহেদী হাসান ও একটি শিকার করেন হারিস রউফ।