মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা। শনিবার (২৯ মার্চ) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবারের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৭৬ জন। খবর এএফপির।
ভূমিকম্পের পর থেকে ছোটখাট কম্পন অব্যাহত থাকায় আতঙ্কে অনেক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন, বিশেষ করে মান্দেলেতে। এটি দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, যেখানে শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভয়াবহ এই দুর্যোগ মোকাবিলায় মিয়ানমারের সামরিক সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছে। এটি এক বিরল পদক্ষেপ, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
উদ্ধার কাজ চলছে, তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।
এরপর আরও বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয় আশপাশের অঞ্চলে।
প্রথম ভূমিকম্পটির তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, এর প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও।
ভয়াবহ এই কম্পনে মিয়ানমারের ঐতিহাসিক সাগাইং সেতু ধসে পড়েছে। এছাড়া মান্দালয়, নেপিদো, পিনমানা, অউংবান ও ইনলে অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙে পড়েছে।
ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় এক্সপ্রেসওয়ের ওপর অবস্থিত দোথেতাওয়াদি সেতুও ভেঙে গেছে। এছাড়া ৩৬২ মাইল দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের বেশ কয়েকটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে কিছু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।