মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবির ঘটনায় তুরান (৮) নামের আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ জনে। আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২ কিলোমিটার দূরে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সুবচনী বাজার সংলগ্ন এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তোরনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তুরান একই এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী আরিফ হোসেনের ছেলে।
মুন্সিগঞ্জ লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন বলেন, ‘দুর্ঘটনার ২ দিন অতিবাহিত হওয়ায় এখন পানির উপরে মরদেহ ভেসে উঠতে পারে। সেজন্য নিখোঁজের সন্ধানে টহল অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টিম।’
তুরানের মামা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকালে পুলিশ জানায়, আমার ভাগ্নে তুরানের লাশ পাওয়া গেছে। আমরা এসেছি। আমার আরেক ভাগ্নে এখনও নিখোঁজ রয়েছে।’
লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কয়েস আহম্মেদ জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে সুবচনী বাজার সংলগ্ন পদ্মার শাখা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তুরানের লাশ পাওয়া যায়। নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর তল্লাশি চলছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিখোঁজ আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এখন পর্যন্ত আরও দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলা খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪৭ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিকনিকের ট্রলারটি।