মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

আজ বৃহস্পতিবার(২রা নভেম্বর) ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ মরণোত্তর চক্ষুদানে দেশের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা কার্যক্রম আরো জোরদার করা আবশ্যক বলে মনে করেন তিনি।

এসব কাজের জন্য তাদের বিশেষ স্বীকৃতি প্রদানের উদ্যোগ নিলে অনেকেই স্বপ্রণোদিত হয়ে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর। তাই মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার গঠনের পর ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯’ প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনে মানবদেহে কিডনি, হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, অন্ত্র, যকৃত, অগ্ন্যাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চক্ষু, চর্ম ও টিস্যুসহ যে কোন অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ সংযোজন এবং মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনানুগ কোন উত্তরাধিকারের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অঙ্গ নেয়ার বিধান রাখা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১নং আইনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী আইনটিকে যুগোপযোগী করে ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়। তিনি নিজেও অনেকবার সন্ধানীতে স্বেচ্ছায় রক্ত দান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। ’

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরাপদ রক্তের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে তৎকালীন পিজি হাসপাতাল, বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের অন্ধত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১৭ জুলাই দ্যা ব্লাইন্ড রিলিফ অ্যাকট ১৯৭৫’প্রণয়ন করেন।

স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী বিগত চার দশকের অধিক সময়কাল যাবৎ আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বেচ্ছায় রক্তদানকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে সন্ধানীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। এর পাশাপাশি সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি মানুষকে মরণোত্তর চক্ষুদানে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।