টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহের পর ভারী বর্ষণ হয়েছে রাজধানীতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি হলেও বুধবার সকালে দমকা হাওয়ার সাথে ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
টানা কয়েকদিন ধরেই রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে তাপপ্রবাহ। এরমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির দেখা মিললেও জনজীবন অতিষ্ট ছিল রাজধানীবাসীর। অবশেষে রাজধানীবাসী দেখা পেলেন বৃষ্টির।
বুধবার সকাল নয়টার পরই হঠাৎ কালো হয়ে যায় রাজধানীর আকাশ। এরপর সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হয় দমকা হাওয়া। কিছুক্ষণ পরেই ঝুম বৃষ্টি নেমে আসে। তাতে শ্রমজীবী মানুষ সাময়িক দুর্ভোগে পড়লেও জনজীবনে নেমে আসে স্বস্তি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের আটটি বিভাগের বহু এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও নোয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, রাজশাহী, ঢাকা, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে এই আবহাওয়াবিদ জানান, রাজশাহী, নওগাঁ, মৌলভীবাজার, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী দুই দিনে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাজশাহীতে এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশে সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।