জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা হবে। এদিন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ডাকায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার সকালে রাজধানীর এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাহপুর, ধানমণ্ডি ৩২, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, কাকরাইল, হাইকোর্টসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ১২ প্লাটুন বিজিবি। ঢাকার প্রবেশপথসহ বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খোঁজে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউ, ফকিরাপুল, কাকরাইল, এলিফ্যান্ট রোডসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানের সময় হোটেলের অতিথিদের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে পেশা, কেন ঢাকায় এসেছেন এমন সব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আওয়ামী লীগ যোগ রয়েছে কি না তা যাচাই করতে মোবাইল ফোনে তল্লাশি করা হয়।
পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা হোটেলে ও মেসে অভিযান চালাচ্ছি। গতরাতে কলাবাগানের একটি মেস থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জনকে। যারা নাশকতার জন্য ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’
পুলিশের দেওয়া জানিয়েছে, কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের আগে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হলে তার তথ্য পুলিশের যে সিডিএমএস (অপরাধীদের ডাটাবেজ) আছে, সেখানে যাচাই-বাছাই করা হয়। তাতেই দেখা যায়, বেশিরভাগের ক্ষেত্রে আগের মামলা পাওয়া যায়।












