আজও সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝরছে বৃষ্টি। ভোর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কাজের প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী পড়েন ভোগান্তিতে।
বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকানগুলোতে আশ্রয় নেন পথচারীরা। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অনেককে মেট্রোরেলের পিলারের পাশে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
শনিবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর কাওরান বাজার, পান্থপথ, শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি, আসাদগেট, ফার্মগেট, বিজয় স্মরণী এবং মহাখালী এলাকায় বৃষ্টি ঝরতে দেখা গেছে।
বৃষ্টির কারণে এসময় রাস্তায় যানবাহন কিংবা রিকশা কম থাকায় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার পাশের ভবনের নিচে, কেউ আবার আশপাশের দোকানে আশ্রয় নিয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তির শিকার হয় অফিসগামী লোকজন থেকে শুরু করে বাইরে বের হওয়া সব ধরণের মানুষ। এসময় রাস্তায় যানবাহন কম থাকায় অনেককে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়াও পরবর্তী পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়া দেশের ২০ জেলার উপর দিয়ে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার বিশেষ পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, রংপুর, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।