রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে যুদ্ধ বিরতির আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর রাশিয়ার কোনো কোম্পানির ওপর এটিই ট্রাম্পের প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ। বৃহস্পতিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া দুটি তেল কোম্পানি হলো- লুকঅয়েল ও রসনেফট। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ শেষ করতে অস্বীকৃতি জানানো এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় অনীহা প্রকাশ করায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক মাস ধৈর্য ধরে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর ট্রাম্পের ধৈর্যের বাঁধও ভেঙে গেছে। বুধবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, প্রতিবার আমি ভ্লাদিমিরের (পুতিন) সঙ্গে কথা বলি। কথোপকথন ভালোই হয়- কিন্তু এরপর আর কিছুই এগোয় না।
রাশিয়ান দুটি কোম্পানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা যাতে বেশিদিন স্থায়ী না হয়, সে আশাও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি এই যুদ্ধের সমাধান হবে।’ আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী।
অন্যদিকে, ইইউ জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের রাজস্ব কমানোর লক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটিতে বলা হয়েছে, বৃহত্তম দুটি তেল কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। মার্কিন বিবৃতিতে এমন ৩৪টি কোম্পানির নাম অন্তর্ভুক্ত আছে।
এর আগে বিভিন্ন সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার তেল বিক্রির অর্থ ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে সহযোগিতা করছে। দেশটি থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের ওপর শাস্তিমূলক শুল্কও আরোপ করেছেন ট্রাম্প।