রাশিয়া কৃষ্ণসাগরের তীরে ইউক্রেনের বন্দর অবরোধ করে আফ্রিকাসহ পুরো বিশ্বকে খাদ্য সংকটে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। যদিও খাদ্য সংকটের জন্য পশ্চিমাদেরকেই দায়ি করেছে রাশিয়া। এদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তীব্র হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। সেভেরোদোনেৎস্কের শিল্প এলাকায় প্রবেশ করেছে তারা। এছাড়া, ইউক্রেন দাবি করেছে, যুদ্ধবন্দী হিসেবে মস্কোতে দেড় হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে আটকে রাখা হয়েছে।

ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরের তীরে দেশটির বন্দর অবরোধ করে রেখেছে রাশিয়া। এর প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে ভিডিওকলে তিনি এসব কথা বলেন। যদিও স্থলপথ ব্যবহার করে শস্য রপ্তানি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।

তবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের আশঙ্কা সৃষ্টি ও খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির জন্য পশ্চিমাদের ‘ধ্বংসাত্মক’ অবস্থানকে দায়ি করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। এদিকে, ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে। তাদের যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক রাখা হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের খারকিভে নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে। ভেরোদোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্ক শহরেও কঠিন লড়াই চলছে। রাশিয়ান বাহিনী সেভেরোদোনেৎস্কের শিল্প এলাকায় প্রবেশ করেছে। একইসাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওডেসা অঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ড্রোন এবং একটি ড্রোন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে তুরস্কের সাথে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান। আর ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল খেরসনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গণভোট। খেরসন নিয়ন্ত্রণকারী বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাশিয়ার সাথে যুক্ত হওয়া না হওয়া নিয়ে এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।