লিখটেনস্টেইনের পর এবার লুক্সেমবার্গের বিপক্ষেও রোনালদোর জোড়া গোলের দেখা মেলেছে। এর সুবাদে ৬-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে পর্তুগাল।আন্তর্জাতিক ফুটবলে এনিয়ে রোনালদোর গোলসংখ্যা গিয়ে ঠেকল ১২২-এ। এর মধ্যে লুক্সেমবোর্গের বিপক্ষেই ১১ টি। দলটিকে সামনে পেলে কখনো নিষ্প্রভ থাকেন না। কেননা যেকোনো প্রতিপক্ষের চেয়ে তাদের বিপক্ষেই বেশি গোল করেছেন তিনি। লুক্সেমবোর্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচের নবম মিনিটে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। নুনো মেন্দেসের হেড থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের ছোঁয়ায় তা জালে পাঠান তিনি।

খেলা শুরুর নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল, এগিয়ে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ডান দিক থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেসের বাড়ানো ক্রসে নুনো মেন্দেসের মাথা ছুঁয়ে বল চলে আসে জালের কাছে, সঠিক লক্ষ্যস্থলে তা সাচ্ছন্দ্যেই পাঠিয়ে দেন রোনালদো। ছয় মিনিট পরেউ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফেলিক্স। সিলভার ক্রস করা বলে লাফিয়ে মাথা ছুঁয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে।

দুই মিনিট পরেই তৃতীয় গোলটি পেয়ে যায় পর্তুগাল, এবার গোলদাতা সিলভা। এই গোলটিও আসে হেড থেকে। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই ৩ গোল হজম করে এলোমেলো হয়ে যায় লুক্সেমবার্গ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩১তম মিনিটে গোলের হালি পূরণ করেন রোনালদো। দারুণ দক্ষতায় ডিফেন্স চিড়ে গোল রক্ষককে বোকা বানান এই পর্তুগিজ সুপারস্টার। এক হালি গোল নিয়েই বিরতিতে যায় পর্তুগাল।

বিরতির পর নিজেদের খানিকটা গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায় লুক্সেমবার্গ। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটেই দারুণ এক আক্রমণে যায় তারা। আর ম্যাচে প্রথমবারের মতো লক্ষ্যে শট নেয় লুক্সেমবার্গ। তবে ভিনসেন্টের জোরাল নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান পর্তুগিজ গোলরক্ষক রুই পাত্রিসিও।

৫৭ মিনিটে রোনালদোসহ সিলভাকে তোলে নেন পর্তুগালের কোচ, ৭৫তম মিনিটে ফের্নান্দেস ও ফেলিক্সকেও তুলে নেন তিনি। এরই দুই মিনিট পর পঞ্চম গোলের দেখা পেয়ে যায় পর্তুগাল, রাফায়েল লেয়াওয়ের সহায়তায় গোল এবার করেন অক্তাবিও। তবে তাতেও যেন সন্তুষ্ট হয়নি পর্তুগাল, কমেনি গোল ক্ষুধা। ৮৮ মিনিটে ৬ষ্ঠবারের মতো বল জালে জড়ান লেয়াও।

৬-০ গোলের দাপুটে জয়ে ইউরোর বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপের শীর্ষে পর্তুগাল। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট রোনালদোর দলের৷