কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে পুলিশের গুলিতে মোহাম্মদ হাশিম নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবী, নিহত হাশিম সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার সক্রিয় সদস্য। এসময় সন্ত্রাসীদের পাল্টা গুলিতে নুর হাবা নামে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছে। সাদেক নামে আরসার এক সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে ১৮ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয় (এপিবিএনের) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

তিনি জানান, ১৮ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৭ নাম্বার ব্লকে মসজিদের পাশে আরসা সন্ত্রাসী লালুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবিপিএন পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে আরসার সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নুর হাবা নামে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হন। তিনি ওই ক্যাম্পের নুরুল ইসলামের স্ত্রী।

পরে পুলিশ সাধারণ রোহিঙ্গাদের ও নিজেদের জীবন বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের উপর পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।দৌড়ে পালানোর সময় আরসা সন্ত্রাসী সাদেককে একটি অস্ত্রসহ আটক করেন।

পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে ঘটনাস্থলে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসিমের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশের ২ জন সদস্য আহত হয়েছে।

নিহত আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসিম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ।