লেবাননে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজনই শিশু। এছাড়া নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। এর আগে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলি এক সেনাসদস্য নিহত হয়।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হযেছে, হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চার মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে গুলি বিনিময় করছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী তার ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসের সমর্থনে বিতর্কিত সীমান্তজুড়ে রকেট ছোড়ার পর।

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। চার মাস ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬৭ হাজার।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সেই আগ্রাসন শুরুর কয়েক দিন পর থেকেই লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত এলাকায় রকেট ও ড্রোন হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীও পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের আল-সাওয়ানা গ্রামে ইসরায়েলি হামলায় একজন নারী ও তার দুই সন্তান নিহত হয়েছেন। একজন হাসপাতাল পরিচালক হাসান ওয়াজনি এবং অন্য তিনটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, নাবাতিহের একটি ভবনে হামলায় আরও দুই শিশু, তিনজন নারী ও একজন পুরুষ নিহত হয়েছেন।

ওয়াজনি রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলি হামলার পর চিকিৎসার জন্য আরও সাতজন হাসপাতালে গিয়েছেন। নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে, পৃথক হামলায় চার হিজবুল্লাহ যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন।

হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে অভিযানের ঘোষণা না দিলেও সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রধান বলেছেন, বুধবার লেবাননের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলার ‘জবাব দেওয়া হবে’।

ইসরায়েলি সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, বুধবার সকালে লেবানন থেকে রকেট হামলায় ইসরায়েলের এক নারী সৈন্য মারা গেছে এবং অন্য আটজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।