কাল আংশিক উদ্বোধন হচ্ছে, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই টার্মিনাল চালু হলে আরও বিদেশি এয়ারলাইনস আসবে এবং যাত্রী পরিবহন বাড়বে। উন্নত যাত্রী সেবাও নিশ্চিত হবে বলে আশা করছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এ স্মার্ট প্রবেশদ্বার দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে দেশ।
অবশেষে স্বপ্নেরা ডানা মেলছে বাস্তবতায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ। এটি চালু হলে বদলে যাবে পুরো বিমানবন্দর এলাকার দৃশ্যপট। রাজধানীর সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যোগযোগ ব্যবস্থায়ও আসবে আমূল পরিবর্তন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে দোতলার ক্যানপি। এখান থেকেই বহির্গমন যাত্রীর যাত্রা শুরু। টার্মিনালের ভেতরে সুদৃশ্য পিলার আর তার প্রান্ত ছুঁয়ে ছাদের বর্ণিল নকশা বলে দেয়- বদলে গেছে ঢাকার প্রবেশদ্বার। তৃতীয় টার্মিনালই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট প্রবেশ দ্বার।
তিন বছর ধরে চলেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ভবনসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের মহাযজ্ঞ। শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৃতীয় টার্মিনালের এই বোর্ডিং ব্রিজে বিমানের উড়োজাহাজের পরীক্ষামূলক প্রথম ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনের পর টার্মিনাল ভবনের ভেতর জুড়ে চলবে ভেতরের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বসানো ও ব্যবস্থাপনার কাজ। বিভিন্ন সংস্থার লোকবলের প্রশিক্ষণও শুরু হবে।
যাত্রী সেবার মান বাড়াতে আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি বসানো হচ্ছে। বর্হিগমনের ১১৫টি ও আগমনের ৫৯টি চেকইন কাউন্টার তৈরি হচ্ছে। ইমিগ্রেশনে থাকছে ৬৬টি কাউন্টার। যাত্রীদের স্বস্তি দেবে লিফট, এসকেলেটর ও চলন্ত পথ। যাত্রীদের সুবিধায় বসানো হচ্ছে ১৬টি লাগেজ বেল্ট। তৈরি হচ্ছে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ। পরবর্তীতে তৈরি হবে আরো ১৪টি। এটি চালু হলে আরও বিদেশি এয়ারলাইনস এখান থেকে যাত্রী বহন করবে, আয়ও বাড়বে।
২০২৪ এর অক্টোবর নাগাদ যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি চালু হবে এই টার্মিনাল।