আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দিলে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দেখা দিবে না। এই দেশে আন্দোলনে জিতলে নির্বাচনেও জয়ী হওয়া যায়। ষড়যন্ত্র করে, কাউকে হত্যা করে ক্ষমতা পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ই আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, পলাশী থেকে শুরু করে যারাই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলো তারা কেউ বাঁচতে পারেনি। জিয়াউর রহমানও বাঁচতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কে  হত্যার পর কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনি। প্রতিবাদ না করার রাজনৈতিক ব্যর্থতা আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ই আগষ্টে বঙ্গবন্ধুকে টার্গেট করা হয়েছিলো এবং ২১শে আগষ্ট টার্গেট করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে। বিএনপির আন্দোলন এখন সোনার হরিণ। ষড়যন্ত্র করে কাউকে হত্যা করতে পারবেন কিন্তু ক্ষমতায় যেতে পারবেন। ক্ষমতার সিংহাসন অনেক দূরে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৩ বছর ধরে কত শুনলাম, রোজার ঈদের পরে, কুরবানির ঈদের পরে, দেখতে দেখতে ১৩ বছর। দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পদ্মা-মেঘনা নদীতে কত পানি গড়িয়ে যায়। কিন্তু ফখরুল সাহেবদের আকাঙ্ক্ষিত আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা যায় না।

তিনি আরো বলেন, এবছরের শেষের দিকে এবং আগামী বছরের দিকে অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন হবে তখন বিএনপির কষ্ট অনেক বেড়ে যাবে। দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে দেখতে বিএনপির চোখের পানি এবং নদীর পানি একাকার হয়ে যাবে।

১৫ তারিখ বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক কাটা হয়নি কিন্তু ১৬ তারিখ ঠিকই পালন করেছে। এখনো বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করা হয়। একটা মানুষের কয়টা জন্মদিন হতে পারে। সবশেষ তার ৬ষ্ট জন্ম তারিখ পাওয়া গেছে। খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করে দেশের জনগণের সাথে  আর কতো তামাশা করবেন মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে এমন প্রশ্ন জানতে চান ওবায়দুল কাদের।