জয়পুরহাটের বারিধারা মহল্লায় চার বছর বয়সী নিজ কন্যা সন্তানকে হত্যাকারে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক মা। গলায় চার্জারের তার পেঁচিয়ে সন্তানকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালের দিকে সদর থানার সামনে ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট পৌর এলাকার বারিধারা এলাকায় নয়ন কুমার পালের কন্যাসন্তান কনিনিকা পাল।

জানা গেছে, নয়ন কুমার পাল জয়পুরহাট শহরে ২০১১ সালে সোনালী ব্যাংকে ক্যাশ ইনচার্জ পদে যোগদান করেন। এরপর নয়ন তার স্ত্রী মৌমিতা পাল তার চার বছরের কন্যা সন্তান রিয়াকে নিয়ে শহরের বারিধারা মহল্লায় অ্যাডভোকেট সন্দিপের বাসায় তিন তলায় একটি ফ্লাটে বসবাস করতেন। বর্তমানে তিনি পাঁচবিবি উপজেলাতে সোনালী ব্যাংকে কর্মরত।

পুলিশ জানায়, সকালে নয়ন কুমার পাল স্ত্রী-সন্তানকে বাসায় রেখে ব্যাংকে যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার স্ত্রী মৌমিতা পাল থানায় এসে জানান, তিনি তার মেয়েকে মোবাইল চার্জারের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। তার কথামতে ওই বাসায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর ওই শিশুর বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনা জানানো হয়। পাশাপাশি লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জয়পুরহাট সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী মৌমিতা পালের সাথে স্বামী নয়ন কুমার পালের পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। এ ছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে মানসিক রোগীও বলা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ওই শিশুকে কী কারণে তার মা হত্যা করেছেন তা জানার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সন্তান হত্যার দায়ে মৌমিতা পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

নয়ন কুমার পাল বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে সদর থানা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয় আপনি থানায় আসেন। তড়িঘড়ি থানায় গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী থানায়। সেখানে গিয়ে শুনতে পাই মেয়েকে আমার স্ত্রী নিজেই গলায় চার্জারের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

নয়ন কুমারের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আমড়া গোহাইল গ্রামে।