ঈদের ছুটিতে জনসংযোগের পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের উপকারভোগীদের খোঁজখবর নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (বুধবার) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও মহানগর নেতাদের যৌথসভায় গণভবন থেকে ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে এই নির্দেশ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মোবাইল ফোনে ভিডিওকলে যুক্ত হন সরকারপ্রধান। ভিডিওকলে প্রায় দশ মিনিট কথা বলেন। এসময় নেতাদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঈদের ছুটিতে মানুষের কাছে যাওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাফর উল্যাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমিন, বাহাউদ্দীন নাছিম, আবদুস সবুরসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি যতশক্তির কাছেই বিএনপি যত ধরনা দিক না কেন, কারো কোনো ফরমায়েশি গণতন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের গণতন্ত্র চলবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক করার জন্য অশুভ শক্তির তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব যে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তা মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়া যেন নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে সেজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।